আমার ছোট জীবণে রাখা রোজাগুলোর মধ্যে যে কয়েকটা দিন সবচেয়ে কষ্ট হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম একদিন ছিল। ২০০৯ সালের ২/৩ রমজান। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছুটি বুয়েটের উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্য একটাই। বুয়েটের ফরম জমা দেওয়া। সুন্দর ভাবে জমা দিয়ে বাসায় ফিরলাম। ভাবলাম শান্তি যাক একটা কাজ শেষ হল।
কিন্তু না! এমন সময় বাসায় ফোন আসল নৌবাহিনী সদর দপ্তর হতে। একজন কর্মচারী ফোন করে জানালেন । আমি ফরমের সাথে যে সার্টিফিকেট দিয়েছিলাম তা নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! সার্টিফিকেটগুলো দিয়ে আসতে হবে। আমরা চিন্তায় পড়লাম এটা কেমন কথা আবেদনকারীকে পার্সোনালি ফোন করে এমন রেস্ট্রিক্টেড একটা জায়গায় ডাকছে! ফরমে সমস্যা হলে ত সাধারণত তা বাতিল করে দেয় সবখানে, ডেকে নিয়ে ঠিক করায় এমন ত শুনিনি। ভাবলাম মনে হয় কোন ফ্রড, সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময় কত ফ্রডের কাহিনীই না শুনেছি! এমন কেউ হবে। কিন্তু সেখান থেকে বারবার ফোন করায় সিদ্ধান্ত নিলাম না যাই দেখা করে আসি।
রওনা দিলাম সেই বনানীর উদ্দেশ্য । পুরো ঢাকা পার হয়ে যেতে হবে। তীব্র গরম, রোদ, জ্যাম পার হয়ে গেলাম বনানী। সেখানে গিয়ে দেখলাম বাস থেকে নামতে হয় কাকলি মোড়ে। সেখান থেকে সদর দপ্তর বেশ দূর। ভিআইপি জায়গা হওয়ায় সেখান পর্যন্ত রিকশাতে যাবার রাস্তাই নেই। কি আর করা । কড়া রোদ মাথায় নিয়ে দিলাম হাটা। শেষ মেশ পৌঁছলাম সেখানে। কত কড়াকড়ি তখন আমি সাধারণ এক সিভিলিয়ান। নানা সব গেটে নাম পরিচয় বিস্তারিত লিখে শেষমেশ ঢুকলাম সদর দপ্তরে। যা বাংলাদেশের একটি অন্যতম রেস্ট্রিক্টেড জায়গা।
যে অফিসে আস্তে বলছিল সেখানে গিয়ে দেখি আসলেই ফর্মের সাথে কিছুই নাই। সার্টিফিকেট যা চাইছিল জমা দিয়ে ফেরত আসলাম।
আসার পথেও সেই একই অবস্থা। বিশাল পথ রোদের মধ্যে হেটে কাকলি যাওয়া। অনেক বাস পাশ দিয়ে ছুটে গেলেও চলন্ত বাসে কখনো লাফ দিয়ে চড়ার সাহস আজও করে উঠতে পারি নাই ভীতু হওয়ার কারণে। তাই কষ্ট করে বাসস্টপেই গেলাম। তারপর বাসের অপেক্ষা। পুরো ভরা বাসের ঠাসাঠাসি। রোজা রেখে এত কষ্ট করা তখন আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। দুআ করলাম , হে আল্লাহ! সারাদিনের এই কষ্ট বৃথা যেতে দিও না।
আলহামদুলিল্লাহ । বুয়েট ও নৌবাহিনী দুটোতেই চান্স পেলাম। মাত্র এদুটো পরীক্ষাই দিয়েছিলাম । আর দুটোতেই আছি আল্লাহ তাআলার অলৌলিক সাহায্যের মাধ্যমে।
কিন্তু না! এমন সময় বাসায় ফোন আসল নৌবাহিনী সদর দপ্তর হতে। একজন কর্মচারী ফোন করে জানালেন । আমি ফরমের সাথে যে সার্টিফিকেট দিয়েছিলাম তা নাকি খুঁজে পাচ্ছে না! সার্টিফিকেটগুলো দিয়ে আসতে হবে। আমরা চিন্তায় পড়লাম এটা কেমন কথা আবেদনকারীকে পার্সোনালি ফোন করে এমন রেস্ট্রিক্টেড একটা জায়গায় ডাকছে! ফরমে সমস্যা হলে ত সাধারণত তা বাতিল করে দেয় সবখানে, ডেকে নিয়ে ঠিক করায় এমন ত শুনিনি। ভাবলাম মনে হয় কোন ফ্রড, সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময় কত ফ্রডের কাহিনীই না শুনেছি! এমন কেউ হবে। কিন্তু সেখান থেকে বারবার ফোন করায় সিদ্ধান্ত নিলাম না যাই দেখা করে আসি।
রওনা দিলাম সেই বনানীর উদ্দেশ্য । পুরো ঢাকা পার হয়ে যেতে হবে। তীব্র গরম, রোদ, জ্যাম পার হয়ে গেলাম বনানী। সেখানে গিয়ে দেখলাম বাস থেকে নামতে হয় কাকলি মোড়ে। সেখান থেকে সদর দপ্তর বেশ দূর। ভিআইপি জায়গা হওয়ায় সেখান পর্যন্ত রিকশাতে যাবার রাস্তাই নেই। কি আর করা । কড়া রোদ মাথায় নিয়ে দিলাম হাটা। শেষ মেশ পৌঁছলাম সেখানে। কত কড়াকড়ি তখন আমি সাধারণ এক সিভিলিয়ান। নানা সব গেটে নাম পরিচয় বিস্তারিত লিখে শেষমেশ ঢুকলাম সদর দপ্তরে। যা বাংলাদেশের একটি অন্যতম রেস্ট্রিক্টেড জায়গা।
যে অফিসে আস্তে বলছিল সেখানে গিয়ে দেখি আসলেই ফর্মের সাথে কিছুই নাই। সার্টিফিকেট যা চাইছিল জমা দিয়ে ফেরত আসলাম।
আসার পথেও সেই একই অবস্থা। বিশাল পথ রোদের মধ্যে হেটে কাকলি যাওয়া। অনেক বাস পাশ দিয়ে ছুটে গেলেও চলন্ত বাসে কখনো লাফ দিয়ে চড়ার সাহস আজও করে উঠতে পারি নাই ভীতু হওয়ার কারণে। তাই কষ্ট করে বাসস্টপেই গেলাম। তারপর বাসের অপেক্ষা। পুরো ভরা বাসের ঠাসাঠাসি। রোজা রেখে এত কষ্ট করা তখন আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। দুআ করলাম , হে আল্লাহ! সারাদিনের এই কষ্ট বৃথা যেতে দিও না।
আলহামদুলিল্লাহ । বুয়েট ও নৌবাহিনী দুটোতেই চান্স পেলাম। মাত্র এদুটো পরীক্ষাই দিয়েছিলাম । আর দুটোতেই আছি আল্লাহ তাআলার অলৌলিক সাহায্যের মাধ্যমে।